Sunday, October 16, 2016

চলে আসুন দেশের সবচেয়ে বড় আই.সি.টি. ইভেন্ট ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬


চলে আসুন দেশের সবচেয়ে বড় আই.সি.টি. ইভেন্ট  'ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬'

আগামী ১৯/২০/২১ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে রাত টা পর্যন্ত, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (ICCB)

এখনি রেজিস্ট্রেশান করতে ক্লিক করুন : Digital World 2016

সিয়েরালিওন জাতির সরকারী ভাষা বাংলা, জেনে নিন কেনো

২০০২ সালে আমাদের ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়, ঠিক ওই বছরই বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ সিয়েরালিওন বাংলা ভাষাকে তাদের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়। সিয়েরালিওন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। আয়তন ৭১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রা ৬০ লাখ। সিয়েরালিওনে বাস করে ১৬টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, যাদের সবার নিজস্ব ভাষা সাংস্কৃতিক রীতিনীতি আছে। সাধারণভাবে অধিকাংশ মানুষ নিজেদের মধ্যে ইংরেজীর সঙ্গে স্থানীয় ভাষাগুলোর সম্মিলনে সৃষ্ট ক্রিও নামের একটি সংকর ভাষায় ভাবের আদান-প্রদান করে থাকে। সরকারি ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। ১৯৬১ সালে সিয়েরালিওন স্বাধীনতা পায়। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর দুর্নীতি, অপশাসন, অযোগ্যতার কারণে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো সিয়েরালিওনের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ সিয়েরালিওনে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যোগ দেয়। বাংলাদেশ থেকে ৭৭৫ জন সেনার প্রথম দলটি সিয়েরা লিওনেরদক্ষিণ অঞ্চলে লুঙ্গি নামক স্থানে দায়িত্ব নেয়। ধীরেধীরে বাংলাদেশ থেকে আরও সেনা সিয়েরালিওন যান এবং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রায় হাজার ৩০০ জন সেনা একত্রে সিয়েরালিওনে কর্মরত ছিলেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ দল ২০০৫ সালে ফিরে আসে। সর্বমোট প্রায় ১২ হাজার সেনা সিয়েরালিওনে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাদল তাদের নিয়মিত সামরিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনার জন্য বিবদমান বিভিন্নজাতির মধ্যে আস্থা নিরাপত্তাবোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। যোগাযোগের মাধ্যমে হিসেবে সাধারণ সেনারা ইংরেজী ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও ব্যবহার করতে থাকেন। বাংলা ভাষা স্থানীয় লোকজনের অপরিচিত হওয়ায় বাঙালি সেনারা তাদের ধৈর্যের সঙ্গে তা শেখাতে শুরু করেন। সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করে খুব আগ্রহের সঙ্গে। ভাষার সঙ্গে সঙ্গে তারা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে থাকে। লক্ষ করা যায়, ২০০২ সালের মধ্যে যেখানেই বাংলাদেশি সেনাদল আছে, সেখানেই স্থানীয়রা বিশেষত তরুণ- তরুণীরা বাংলায় কথা বলতে পারছে। বিভিন্ন সভায় স্থানীয়রা বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের বাঙালি নাচ গান পরিবেশন করতে দেখা যায়। বাংলাদেশ সেনাদলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা জনপ্রিয়তা পায়। স্থানীয়রা কাজ চালানোর মতো বাংলা ভাষা শিখে নেওয়ার ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাদল অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যায়। সিয়েরালিওনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ৩১টি দেশের সেনাদল কর্মরত ছিল। প্রায় প্রতিটি দেশের সেনাদল যুদ্ধরত বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের আক্রমণের মুখোমুখি হলেও বাংলাদেশ সেনাদল বিষয়ে ছিল ব্যতিক্রম; কারণ, বাংলাদেশি সেনাদল তাদেরদায়িত্বের প্রতি সব সময় নিষ্ঠাবানছিল, উপরন্তু সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করত। ফলে বাংলাদেশি সেনাদের বাংলা ভাষাকে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচারের উদ্যোগটি সহজেই সফলতা পায়। শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ গঠনে বাংলাদেশি সেনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালের ১২ ডিসেম্বর সিয়েরালিওনের প্রেসিডেন্ট আহমদ তেজান কাববা বাংলা ভাষাকে সিয়েরা লিওনের অন্যতম সরকারিভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ ভারতের কয়েকটি রাজ্য ব্যতীত আর কোথাও বাংলা ভাষা সরকারি ভাষা হিসেবে এই প্রথম স্বীকৃতি পায়। প্রেসিডেন্ট কাববা বাংলাদেশ সেনাদলের নির্মিত ৫৪ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন কালে এই ঘোষণা দেন। বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ওলুয়েমি আদেনজি, জাতিসংঘ বাহিনীর কমান্ডার লে.জেনারেল ড্যানিয়েল ইসমায়েল ওপান্ডেসহ আরও অনেকে। বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট কাববা ২০০৩ সালের ২১ অক্টোবর তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসেন। সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা ঘোষণা দেওয়ায় বাংলা ভাষা একটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার সম্ভবাবনা দেখা দেয়, যদিও তা কাজে লাগানো হয়নি। সিয়েরালিওন এগিয়ে এলেও আমাদের তরফ থেকে বাংলা ভাষার প্রচার- প্রসারে সিয়েরা লিওনের সঙ্গে যে পরিমাণ সাংস্কৃতিক বিনিময় হওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি, তবে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের ভাববার সময় পার হয়ে যাচ্ছে না তো  ??

কেন কেউ পরকীয়ায় জড়ায় : মোঃ গোলাম মোস্তফা

জীবনের সুখ সকলে পেতে চায়, তবে এই আধুনিক সমাজে কতটুকু পায় সেখানে প্রশ্ন থেকে যায়, পরকীয়া নামক শব্দটি এখন সমাজের ক্যান্সারজনিত রোগের মতো হয়ে গিয়েছে, গতির যুগে সম্পর্ক ভাঙছে প্রতিনিয়ত আর সেই সম্পর্ক যদি হয় স্বামী-‌স্ত্রীর তাহলে সংকট বাড়ে আরও দেখা গেছে, মতের অমিল হওয়ার পাশাপাশি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও বিয়ে ভাঙার একটা বড় কারণ কেন কেউ জড়ান পরকীয়ায় একনজরে দেখে নেয়া যাক কারণগুলো
পরকীয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে দেখা গেছে তুলনামূলকভাবে কম বয়সে বিয়ে হওয়া দেখা গেছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে যাঁরা জড়াচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগই ২৫-‌এর কম বয়সে বিয়ে করেছেন মধ্যত্রিশের মাঝামাঝি গিয়ে অনেকেই সম্পর্কের নতুনত্ব খুঁজে পাচ্ছেন না ফলে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়
মানসিকতার ফারাক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর আরও একটা কারণ দেখা গেছে সম্বন্ধ করে বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই স্বামী স্ত্রী একে অপরের সম্পর্কে না জেনে বিয়ে করে নেন পরে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে মানসিকতার বিরাট ফারাক তার থেকে বাড়তে থাকে দূরত্ব স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে চলে আসেন তৃতীয় কেউ
বিয়ের পরে জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে দায়িত্ব বাড়ে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিও বদলে যায় কিন্তু এই বদলকে মেনে নিতে পারেন না অনেকেই তাঁরা ভুলে যান বিয়ের আগের মতো পরিবেশ পরিস্থিতি আর পাওয়া সম্ভব নয় তার থেকে দাম্পত্য কলহ বাড়ে মানসিক দূরত্ব সেটাও পরকীয়ার একটা বড় কারণ
সন্তান হওয়ার পরে অনেক দম্পতির মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়ে সন্তানের অধিকার, তাকে লালনপালনে কে কতটা দায়িত্ব নেবে এসব নিয়েও চলে বচসা এতেও তিক্ততা বাড়ে আর তিক্ততা বাড়া মানেই পরকীয়ার সম্ভাবনা বাড়া
যৌনতায় অতৃপ্তি যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর সবচেয়ে বড় কারণ সেটা মানেন সকলেই শারীরিক তৃপ্তি যে কোনো সুস্থ মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকে সেটা না পেলে পরকীয়ায় জড়ান অনেকে
বিয়ে মানে শুধু যৌনতা তো আর নয় আবেগ এবং মূল্যবোধও কাজ করে এক দম্পতির মধ্যে সেটা শেষ হলে সম্পর্কও শেষ শুরু হয় পরকীয়া
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি যে অনেকে স্রেফ অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় পরকীয়ায় জড়ান কারণ কে না জানে, নিষিদ্ধ কাজের ‘‌মজা’‌ আলাদা
টাকা পয়সাও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার আর একটা কারণ অনেক সময় দেখা গেছে, স্বামী স্ত্রীর হাতে গোনাগুন্তির বেশি টাকা দেন না এদিকে গৃহবধূ স্ত্রী নিজের সাধ মেটানোর জন্য তাই বাইরে খুঁজে নেন অন্য কোনও প্রেমিক, যিনি ওই নারীর ছোটখাট সাধ আহলাদ পূরণ করবেন

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে কেরিয়ারের উন্নতির সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করেন অনেকে পদোন্নতি কিংবা মাইনে বাড়িয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা বিরল নয়পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার আর একটা বড় কারন হচ্ছে ফেইসবুক নামক একটি পেইজ, যেখান থেকে প্রথম শুরু হয় বন্ধু দিয়ে পথ চলা, তবে শুরুটা বন্ধু দিয়ে হলেও পরের কথাটি সকলের জানা থাকতে পারে, সমাজের মাঝে এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছ পরকীয়া নামক শব্দটি