Sunday, October 9, 2016

বিশ্বের ৩ জন সফল ব্যক্তির হার না মানা গল্প

১। বিল গেটসঃ
সহ-প্রতিষ্ঠাতা, মাইক্রোসট।
সম্পদের পরিমাণঃ ৭২৭ কোটি ডলার।


বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি হওয়ার আগে বিল গেটস ছিলেন একজন ব্যর্থ উদ্যোক্তা।   পরবর্তীতে কঠোর পরিশ্রমের ফলে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হন এবং তার বিলাস বহুল বাড়ি  Xanadu 2.0 (the ‘Bill Gates House’) যেটা কম্পিউটার এবং সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত, মিউজিক এবং লাইটেরও লক্ষণীয় ব্যবহার আছে বাড়িটিতে।

ব্যর্থতাঃ
প্রথমে ট্রাফ-ও-ডাটা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল বিল গেটসের, যেটা ট্রাফিক কাউন্টার এবং ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট তৈরি করতো। এভাবে এই প্রতিষ্ঠান ট্রাফিককে হেল্প করতো। মূলত ট্রাফ-ও-ডাটা ৮০০৮ নামে এই অ্যাপ যা ট্রাফিক টেপ পড়তে পারতো এবং সেই ডাটা প্রসেস করতো। তারা এই পণ্য বিক্রি করতে শুরু করলো দেশের ভেতর কিন্তু তারা ব্যর্থ হন, কারণ যন্ত্রটা সঠিক ভাবে সবসময় কাজ করতে পারতো না।

অতঃপর সফলতাঃ
বিল গেটসের সহযোগী পল অ্যালেন জানান যদিও ট্রাফ-ও-ডাটা ভালোভাবে কাজ করতো না, তবে এর থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কয়েক বছরের মধ্যে তাঁকে মাইক্রোসফট গড়তে সহায়তা করেছিল।

এভাবেই একদিন মাইক্রোসফট বিশ্বের সবথেকে বড় পার্সোনাল কম্পিউটার অপেরেটর হয়ে উঠে।

২) নিক উডম্যানঃ
প্রতিষ্ঠাতাঃ GoPro
সম্পদের পরিমাণঃ ১৭৫ কোটি ডলার


নিক ছিলেন পড়াশোনায় একজন বি ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট। তিনি বিলিয়নিয়ার হিসাবে জন্মগ্রহণ
করেননি। বর্তমানে তার GoPro ক্যামেরা প্রতিষ্ঠানের আগে তার দুইটা অনলাইন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

ব্যর্থতাঃ
প্রথমে তিনি ইম্পেয়ারওয়ল নামে যে ই-কমার্স সাইট তৈরি করেন, যেখানে তিনি কম মূল্যের ইলেক্ট্রনিকস পণ্য সেল করতেন। কোম্পানি খুব ভালো করতে পারছিল না, ফলে তিনি লছ করছিলেন, যেকারণে তিনি এই প্রতিষ্ঠান  বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে  তিনি ফানবাগ নামে অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই ওয়েব ছিল গেম নিয়ে কাজ। গেমের মাধ্যমে তিনি বিজনেস করতেন। যারা অংশগ্রহণ করতো তাদের ক্যাশপ্রাইজ দিতেন। এই কোম্পানি ৩.৯ মিলিয়ন অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে। কিন্তু ২০০১ সালে তিনি ব্যর্থ হতেই থাকেন। তিনি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছিলেন না। যেকারনে তিনি এটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। এই বিজনেস থেকে তিনি ৪ মিলিয়ন ডলার লছ খান।

অবশেষে সফলতাঃ
দুইটি কোম্পানিতে লসের কারণে তিনি একটু ক্লান্ত হয়েছিলেন, যেকারনে তিনি রিফ্রেশমেন্টের জন্য দূরে বেড়াতে যান এবং সেখান থেকে ফিরে এই গোপ্রো ক্যামেরা নিয়ে কাজ শুরু করেন। বিশেষ করে যারা ভ্রমন প্রিয় এবং অ্যাথলেট। যদিও তিনি অনেক বার বলেছেন এই সময় তিনি অনেক ঝুঁকিতে থাকতেন এবং তা থেকে তিনি বের হতে চাইতেন।

অবশেষে তিনি বিশ্বের সবথেকে কমবয়সী বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেন এবং তার কোম্পানি গোপ্রো ছিল অ্যামেরিকার সবথেকে দ্রুত বেড়ে উঠা কোম্পানি।

৩। স্টিভ জবসঃ
সহ-প্রতিষ্ঠাতা, অ্যাপেল।
সম্পদের পরিমানঃ ১০২ কোটি ডলার।


স্টিভ জবসকে বলা হয় উদ্যোক্তাদের গুরু, যিনি সর্বাধিক বিক্রি হওয়া আইপ্যাড, আইফোন, অ্যাপেল নোটবুক, আইম্যাক ইত্যাদির আবিষ্কারক।

তিনি বর্তমান সময়ের সবথেকে প্রভাবিত বিজনেস ম্যান এবং তার সৃষ্টি তাঁকে প্রযুক্তি জগতে চির অমর করে রাখবে।

ব্যর্থতাঃ আমরা আজকে যেই অ্যাপেল দেখছি, এই অ্যাপেল প্রথম দিকে ঐভাবে সফলতার মুখ দেখতে পারে নি। তিনি অনেকটা হতাশ হয়ে এবং নতুন উদ্ভাবন আসছিলো না বলে  টিম ম্যানেজমেন্টের ছেড়ে নেক্সট নামে অন্য কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করেন তিনি।  নেক্স্যটও ভালো ফল দিচ্ছিলো না, যেকারনে তিনি আবার তার স্বপ্নের অ্যাপেলে ফিরে আসেন। কঠোর সাধনার ফলে তিনি এটিকে ক্রিয়েটিভ ওয়েতে নিয়ে যেতে সামর্থ্য হন।

অবশেষে আজকের অ্যাপেলঃ স্টিভ জবস সব সময় চেষ্টা করতেন কীভাবে নতুন আইডিয়া দিয়ে অন্যের চেয়ে নতুনভাবে শুরু করা যায়। যা অন্য মানুষ নতুন জিনিস হিসাবে নিবে। নতুন নতুন সৃষ্টি তৈরি করবে। এভাবে কঠোর সাধনার ফল আজকের এই প্রযুক্তি চমক অ্যাপেল।

No comments:

Post a Comment